জিরো বাউন্ডারি কবিতার দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট নভেম্বরের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

Wednesday 4 October 2017

রুমা ঢ্যাং অধিকারী






 কবিতা কখনও এক জায়গায় থেমে থাকে না, তার একটা প্রবাহ আছে। সেই প্রবাহ ধরেই কবিতা এগোতে থাকে কালখণ্ড পেরিয়ে। কালখণ্ড মেনে কবিতা লেখা হয় না।  আমরা কবিতার ধরণ ধারণ দেখে তাকে একটা পরিসরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলি। জিরো বাউন্ডারি কবিতা সেইসব সীমাবদ্ধতাকে ভেঙে এগিয়ে যাবার কথা বলে আবার আগের ধ্যানধারণাকেও তার আওতায় ধরে রাখে। কোন কবি চাইলে কেন্দ্রাভিমুখী হতে পারেন বা কেন্দ্রের বিপরীত দিকেও যেতে পারেন।  এখানে কবি স্বাধীন এবং তার মেধার ওপর গুরুত্ব আরোপিত।
  
    জিরো বাউন্ডারি কবিতার অখন্ড পরিসরকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের সবারই কনসেপ্টকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। তবে আপাতদৃষ্টিতে সোজা লাগলেও জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট কিন্তু ততটা সোজা নয়। ঠিক এই কথাটাই বলেছিলাম আমি, যখন আফজলদা আমাকে বেশ কিছুটা লিখে দেখিয়েছিলেন বা আমিও পড়তে চেয়েছিলাম যদিও প্রথম কয়েকলাইন লেখার পর থেকেই আমি জড়িত জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্টের সাথে। এখন তো আত্মস্থকরণও হয়েছে। 

  ধীরে ধীরে জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট পরিচিতি পাবার সাথে সাথে whatsapp গ্রুপ খোলা হল। আমরা আরও বেশি করে ভালবেসে এক পরিবার গড়ে তুললাম। এখন তো এই ম্যাগাজিনও প্রকাশ পাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অনেককিছু করার পরিকল্পনা আছে। ধীরে ধীরে আমরা সেইভাবেই আরও এগিয়ে যাব।  

এটা ভাবতে ভাল লাগে যে এই সদ্যজাত জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট ও কবিতা সবার মধ্যেই একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রচুর কবি উৎসাহ দেখিয়েছেন বা সমর্থন করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে চেয়েছেন।  তার প্রমাণ আমরা পাই যখন ব্লগে যাই গিয়ে দেখি আমাদের ব্লগের ভিউয়ার এই একমাসেই প্রায় ৩০০০ ছুঁই ছুঁই। 

সর্বোপরি যে কথাটা না বললেই নয় সেটা হল আফজলদা আমার ওপর ভরসা করেছেন, উৎসাহ দিয়ে গেছেন, স্বাধীনতা দিয়েছেন কাজ করার। আর আফজলদার ইচ্ছাতেই আমি এই ম্যাগাজিনের সম্পাদক।  আমি তো কোন এক্সপার্ট নই।  এখনও হামাগুড়ি দিয়ে চলেছি। আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে আফজলদার সেই ভরসার মর্যাদা দিতে সচেষ্ট হয়েছি এবং দাদার উৎসাহপ্রদানই আমাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। কতটুকু পারলাম সেটা অবশ্য যারা পড়বেন তারা বলতে পারবেন। হ্যাঁ, আপনারা যারা ম্যাগাজিনে লিখেছেন বা যারা পড়বেন সবাইকে বলি আমাদের কাছে আপনাদের প্রতিক্রিয়া জানান, সেসব পাথেয় করে আমরা ভবিষ্যতে এগিয়ে যাব। এই ম্যাগাজিন করতে এসে প্রাপ্তি বলতে কিছুটা জ্ঞানকে সংগ্রহ করা। যারা লেখা দিয়েছেন বা সমস্ত পাঠকসমষ্টিকে আমাদের তরফ থেকে অসংখ্য ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।

পরবর্তী সংখ্যা ডিসেম্বরে প্রকাশ পাবে।  আপনারা নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে লেখা ও এক কপি নিজের ছবি আমাদের কাছে জমা দেবেন। বিজ্ঞপ্তি খুব শীঘ্র প্রকাশ করা হবে আমাদের ফেসবুক পেজে। ততদিন আপনারা  চোখ রাখুন ফেসবুক পেজে।

দুর্গাপূজা শেষ হলেও বিজয়ার রেশ এখনও আছে আমাদের সবার মধ্যে। এই রেশ টেনেই সবাইকে বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই এবং আসন্ন লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে কামনা করি ঘরে ঘরে লক্ষ্মীশ্রী বজায় থাকুক,  শ্রীবৃদ্ধিসম্পন্ন হোক।  সবাই ভালো থাকবেন এবং অপরকেও ভালো রাখবেন।